জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে আর্থিক স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির বিষয়টি আমরা নিশ্চিত করতে চাই। এর অন্যতম মডেল হলো, ক্রাউডফান্ডিং কার্যক্রম। এ বিষয়ে হয়তো আলোচনা-সমালোচনা হবে। তারপরও জনগণের কাছে নিজেদের অর্থনৈতিক বিষয়গুলো পরিষ্কার ও স্বচ্ছ রাখা দরকার বলে মনে করি।
বুধবার (৪ জুন) সন্ধ্যায় বাংলামোটরে এনসিপির অস্থায়ী কার্যালয়ে দলের আর্থিক নীতিমালা ঘোষণা ও ক্রাউডফান্ডিং কার্যক্রম বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।নাহিদ বলেন, অন্য রাজনৈতিক দলগুলোর আর্থিক উৎসের বিষয়েও সাংবাদিকদের প্রশ্ন করতে হবে। তাহলেই সবার মধ্যে স্বচ্ছতা প্রতিষ্ঠা হবে। এনসিপি এ বিষয়টিকে প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থাপনায় রূপ দিতে চায়। আন্দোলনের সময় আমরা গণচাঁদা পেয়েছি। এখনও এভাবে অনেকে দিতে চায়। তবে তা ব্যক্তিগতভাবে নেওয়ার সুযোগ নেই। কারণ আমরা মিডিয়া ট্রায়ালের শিকার। বিভিন্ন জায়গায় আমাদের দলের নাম ভাঙিয়ে কেউ কেউ সুবিধা নিয়েছে। আর মিডিয়া আমাদের দিকে আঙুল তুলেছে।তিনি বলেন, দেশের সামগ্রিক রাজনৈতিক দলগুলোর হিসাব নিতে হবে। নির্বাচন কমিশনকেও এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে হবে। কারণ নির্বাচনে পেশীশক্তি হয় কালো টাকার মাধ্যমে।
নাহিদ বলেন, অনেক রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠা হয়েছে ক্যান্টনমেন্ট থেকে। কেউ সরকারি বিভিন্ন সুবিধা নিয়ে যাত্রা করেছে। আবার কোনও কোনও দল শুরুতেই বিদেশি শক্তির পৃষ্ঠপোষকতা পেয়েছে। কিন্তু আমরা শুধু জনগণ ও নিজেদের নেতাকর্মীদের অনুদানে দলীয় কাজ চালাচ্ছি।সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে ছিলেন– এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন, দক্ষিণাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, উত্তরাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, মুখ্য সন্বয়ক নাসীরউদ্দীন পাটওয়ারী প্রমুখ।
বাংলাস্কুপ/প্রতিবেদক/এনআইএন